ঢাকা , শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​বাংলাদেশ মাতানো তারকা এখন নেইমারের প্রতিপ্রক্ষ

ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় : ১৮-০২-২০২৫ ০২:০৩:১৬ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১৮-০২-২০২৫ ০২:০৩:১৬ অপরাহ্ন
​বাংলাদেশ মাতানো তারকা এখন নেইমারের প্রতিপ্রক্ষ
কিংস অ্যারেনা, ভাষাসৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়াম থেকে শুরু করে বাংলাদেশের মাটিতে প্রায় সব স্টেডিয়ামে তার পদচারণা ছিল এই এক বছর আগেও। কিংস টানা পাঁচ বার লিগ জিতল, তাতে বড় অবদান ছিল তার। গোল করতেন, গোল করাতেও পটু ছিলেন। সেই রবসন রবিনিওর সঙ্গে এখন টক্কর হচ্ছে এক সময়ে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার নেইমারের।

২০২০-২১ মৌসুমে কিংসের ডেরায় যোগ দিয়েছিলেন রবসন। তার গতি, কৌশল এবং গোলস্কোরিং ক্ষমতা দিয়ে বড় একটা জায়গা করে নিয়েছিলেন দেশের ফুটবলে। সঙ্গে সঙ্গে সমর্থকদেরও মন জয় করে নিয়েছিলেন। এতটাই যে সুলেমান দিয়াবাতের মতো তাকেও নাগরিকত্ব দিয়ে জাতীয় দলে খেলানোর দাবি শোনা যেত মাঝেসাঝে।

রবসন কিংসের হয়ে কী করেছেন, তা দলটার ট্রফির সংখ্যাই বলে দিচ্ছে। ২০২০-২১ মৌসুম থেকে সবশেষ মৌসুম পর্যন্ত দলটা লিগ হারায়নি। তাতে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন রবসন। এ সময় কিংসের হয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় তিনি খেলেছেন ৯৭ ম্যাচ, করেছেন ৬৪ গোল, করিয়েছেন আরও ৪৯টি। অবদানটা ঠিক কেমন ছিল, বুঝতেই পারছেন নিশ্চয়ই।

তবে সেই রবসনকে ধরে রাখতে পারেনি কিংস। পারিশ্রমিক নিয়ে জটিলতা শুরু হয় চলতি মৌসুমের শুরুতে। এরপর তিনি ক্লাব ছেড়ে পাড়ি জমান ব্রাজিলে।

তাতে অবশ্য রবসনের ক্ষতি হয়নি। ব্রাজিলিয়ান সিরি ডি এর দল সান্তা আগুয়ায় যোগ দেন তিনি। সেখানেই ক্যাম্পেনাতো পাওলিস্তায় দেখা হয়ে গেল ব্রাজিলের শীর্ষ বিভাগের দল সান্তোসের, সে দলে আবার আছেন ব্রাজিলের ফুটবলে সবচেয়ে বড় তারকা নেইমার।

সোমবার সান্তোসের বিপক্ষে অবশ্য বদলি হিসেবে নেমেছেন রবসন। ৭৭ মিনিটে তিনি নামেন, ততক্ষণে তার দল ৩-১ গোলে পিছিয়ে। নেমে অবশ্য একাধিক সুযোগ তৈরি করেছিলেন। কিন্তু শেষমেশ গোল করা কিংবা করানো, কিছুই করতে পারেননি রবসন। তার দল হারে ৩-১ ব্যবধানে।

এই ম্যাচটাকে মনে রাখবেন তিনি ভালোভাবেই। আর যাই হোক নেইমারের বিপক্ষে খেলা বলে কথা। রবসনের স্মরণীয় এই ম্যাচটাকে কি নেইমারও ভুলতে পারবেন? কেন পারবেন বলুন? নেইমার এই ম্যাচ দিয়েই যে প্রায় দেড় বছর দীর্ঘ গোলখরা কাটিয়েছেন! ১৪ মিনিটে পেনাল্টিতে গোল করেছেন, এরপরও ম্যাচের ৭০ মিনিটে গিলের্মের গোলে যোগানটাও তিনিই দিয়েছেন। নেইমার যদি দুঃসময় পেছনে ফেলে আবারও স্বরূপে ফিরতে পারেন, তাহলে নিঃসন্দেহে এ ম্যাচটাকেই ধরা হবে প্রথম ধাপ হিসেবে। স্মরণীয় হওয়ার জন্য একটা ম্যাচের আর কী রসদ চাই?

বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ